আগামী কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

 অনলাইন ডেস্ক    ৫ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

দেশের সবচেয়ে বড় কয়লা ভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অগামী কাল (৫জুন) সোমবার রাত থেকে। গতকাল শনিবার (৩ জুন) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রাথমিকভাবে এই তথ্য জনিয়েছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা আছে তা দিয়ে আগামীকাল (৫ জুন) রাত পর্যন্ত কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু রাখা যাবে এবং পুরো জুন মাস কেন্দ্রটি বন্ধ থাকবে।

এদিকে ভয়াবহ তাপদাহে গত মে মাস জুড়েই ছিলো দেশব্যাপী তীব্র লোডশেডিং। ফলে জনদুর্ভোগ ছিলো অনেক বেশি। এই অবস্থায় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হলে দেশের চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়ছে।

তাদের মতে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোনো সুখবর নেই। পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্র থেকে গড়ে দৈনিক ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এতে মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পেতো। কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হলে এর প্রভাব পড়বে সারা দেশে।

এই কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। 

কেন্দ্রটির ও বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন,আমরা এরই মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধের অর্থ পেয়েছি এবং কয়লা আনার ব্যবস্থা করেছি। এলসি খোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা  হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মে মাসে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে রাজি হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ৬০ মিলিয়ন ডলার অর্থ পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার এই অর্থ পরিশোধের জোর চেষ্টা করছে। আমরা চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করছি। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াসহ কয়লা এনে তা আনলোড করতে কমপক্ষে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। এর ফলে কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটই পুরো জুন মাস জুড়ে বন্ধ থাকবে।


এ এম খোরশেদুল আলম আরও জানান, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হাতে বিদ্যুৎ আছে।আশা করছি পিডিবি বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারবে।

এর আগে কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটিও এবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পাওনা ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। পিডিবি কিছু টাকা পরিশোধ করেছে। তবে বৈশ্বিক সংকটের কারণে ডলার সংকট থাকায় টাকা ডলারে রূপান্তরিত করতে না পারায় এলসি করা যাচ্ছে না। এ কারণে কয়লা আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

অনলাইন ডেস্ক