পৃথিবীতে কোথায় রয়েছে সেই ‘স্বর্ণের শহর’?

 অনলাইন ডেস্ক    ২০ আগষ্ট, ২০২৩ ১২:১৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 31 বার

স্বর্ণের সন্ধান পেতে চায় অনেকেই কিন্তু কেউ আবার পায় কেউ পায় না। তাই আপনাদের আজ এমন একটি শহরের নাম জানাব সেই শহরটা পুরোই স্বর্ণে মোড়ানো। তার নাম হল ‘এল ডোরাডো’ এই শব্দটি স্প্যানিশ যার অর্থ ‘স্বর্ণের তৈরি’। সবার কাছে এই শহর ‘স্বর্ণের শহর’ নামে পরিচিত।

আপনারা হারিয়ে যাওয়া অনেক শহরের কথা শুনেছেন। কিন্তু এই স্বর্ণের লোভে কত অনুসন্ধানী অভিযান হলো। কত উপাখ্যান আর নানা কল্পকাহিনি লেখা হলো। কীভাবেই-বা তার খোঁজ পাওয়া যাবে।

অনেক দিন আগে দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ায় এক আদিবাসী গোষ্ঠী ছিল যার নাম মুইসকা। মুইসকা ঐতিহ্য অনুসারে, নতুন রাজা নির্বাচন করার পর তাকে সোনার গুঁড়ো মাখিয়ে গুয়াতাভিতার পবিত্র জলে স্নান করানো হয়। তাই এদেরই বলা হতো ‘এল ডোরাডো’।

ধীরে ধীরে লোক মুখে ছড়াতে ছড়াতে মানুষ মনে করতে লাগে এমন একটি শহর আছে যার পুরোটাই স্বর্ণে মোড়ানো। বিশেষ করে স্প্যানিশদের মুখেই এই কথা বেশি ছড়াতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: মানসিক উদ্বেগ কাটানোর সহজ উপায়...

আনুমানিক ৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই বিভিন্ন নথিতে ‘এল ডোরাডোর’ কথা বিভিন্ন ভাবে ছড়াতে থাকে। ষোড়শ শতকে সবচেয়ে বিস্তার লাভ করে এ মিথ। এ নিয়ে হুয়ান রড্রিগজ ফ্রেইলের লেখা হয় ‘দ্য কনকোয়েস্ট অ্যান্ড ডিসকভারি অব দ্য নিউ কিংডম অব গ্রানাডা’।

পবিত্র গুয়াতাভিতা হ্রদে অনেকবার অভিযান চালানো হয়। হ্রদের পানি সেচে চার হাজার সোনার টুকরো পেয়েছিলেন অভিযাত্রী কুয়েসাদা। তবে টুকরো স্বর্ণ পেলেও সন্ধান মেলেনি সেই স্বর্ণের নগরীর।

স্প্যানিশরা যখন লাতিন আমেরিকা জয় করেন, স্থানীয় মুইসকা গোষ্ঠীকেও খুঁজে বের করেন। লেক গুয়াতাভিতায় খোঁজ চালিয়ে কিছু স্বর্ণ পান তারা।

১৮৫৬ সালে কলম্বিয়ার পাসকায় একটা গুহায় মুইসকাদের ভেলার একটা স্বর্ণের রেপ্লিকা পাওয়া যায়। যাতে চড়ে সোনার গুঁড়োয় আবৃত রাজা ‘জিপা’ গুয়াতাভিতা লেকের মাঝে গিয়ে দেবতার উদ্দেশে মহামূল্যবান ধনরত্ন উৎসর্গ করত।

আরও পড়ুন: শিশুকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার উপায়ে...

তবে ‘এল ডোরাডোর’ খোঁজ করতে গিয়ে পুরো আমাজন নদীর দৈর্ঘ্য মেপেছিলেন ফ্রান্সিসকো দে ওরেয়ানা। এল ডোরাডোর সন্ধান পেতে গত ১০০ বছরে নানা দেশের সংগঠিত অভিযানই হয়েছে অন্তত ১৪টি। এই অভিযানে ইনকা সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেলেও দেখা মেলেনি সেই স্বর্ণ শহরের। ‘এল ডোরাডো’ কি শুধুই মিথ্যা নাকি সত্যিই এর অস্তিত্ব আছে তা আজও অজানা।

অনলাইন ডেস্ক