খাগড়াছড়ির মায়াবিনী লেক এখন দর্শনার্থীদের উপভোগময় স্থান

 মোঃ আনোয়ার হোসেন জীবন    ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৩:৫০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 29 বার

খাগড়াছড়ি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম একটি জেলা। সবুজ - শ্যামল আর পাহাড়ের গাছপালাকে ঘিরে যেন প্রকৃতির রুপ-বৈচিত্রের এক স্বপ্নরাজ্য। যা উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়।

খাগড়াছড়িতে উপভোগ করার মতো যেসব পর্যটন রয়েছে তার মধ্যে ভাইবোনছড়ার মায়াবিনী লেক এর ভুমিকা ছুরে ফেলার মতো নয়। এ লেকে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়কে ঘিরে ছোট ছোট দ্বীপ, নৌকা ভ্রমণ, এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকো।রয়েছে ছোট দ্বীপের মাঝখানে ফুলের বাগান।

একটু বিকেল গড়লেই দেখা মেলে সারি সারি সাদা বক আর শালিক পাখির কিচির মিচিরের মেলা। এসব নৈসর্গিক সৌন্দর্য যেকোনো ভ্রমণপ্রেমী মানুষকে মুহূর্তে মায়ার জালে আটকে ফেলবে।

এ মায়াবিনী লেকটি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ভাইবোনছড়ার কংচাইরি পাড়ায় পাহাড়ের মাঝে উঁচু-নিচু ৪০ একর জায়গায় ১৫ একর লেকের মাঝখানে দ্বীপের মতো গড়ে উঠেছে এ পর্যটন কেন্দ্রটি। এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, মায়াবিনী লেকটি সত্যি মন কেড়ে নেওয়ার মতো জায়গা।

তবে বাশেঁর সাকোর পরিবর্ততে ঝুলন্ত ব্রীজের ব্যবস্থা করলে,এবং বানরের পাশা পাশি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থা করা হলে এ পর্যটন কেন্দ্রটির অপার সম্ভবনা থাকবে বলে আমি মনে করি।

মায়াবিনী লেক এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু অংলাপ্রু মারমা বলেন, মায়াবিনী লেকে মাছ চাষ ও পর্যটনের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিদর্শনময় সাকোঁ ও নতুন আঙ্গিকে কিছু তৈরিতে ব্যয় বহুল খরচ হবে।

কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক যোগান সল্পতার কারণে মায়াবিনী লেক কে আরো প্রাণবন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকারি ভাবে সহযোগিতা করে এই মায়াবিনী লেক এর পাশে থাকলে খাগড়াছড়ি জেলার এই মায়াবিনী লেক দেশ সহ দেশের বাহিরের দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আমি আশা রাখি।

মোঃ আনোয়ার হোসেন জীবন