হাঁস নাকি মুরগির ডিম—কোনটিতে পুষ্টি বেশি?

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ৩০ সেপ্টেম্বার, ২০২৩ ১৪:০৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 31 বার

একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবারের নাম হলো ডিম। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ ও ‘বি৬’, ভিটামিন ‘ডি’, ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘এ’, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন ও জিয়াজ্যান্থিনের মতো নানা পুষ্টি উপাদান। তাই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পুষ্টিবিদরা নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

তবে অনেকেই জানেন না কোন ডিমে বেশি পুষ্টি রয়েছে, হাঁস নাকি মুরগির ডিমে। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির ডিম না কিনে হাঁসের ডিম খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম প্রাকৃতিক ভাবেই আকারে বড় হয়। আকারে বড় হওয়ায় হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় থাকে।

অনেকে ভাবেন, হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই একটি ভুল ধারণা। বিশ্বখ্যাত পুষ্টিবিদ মিহো হ্যাটানাকা বলেছেন, ২টি হাঁসের ডিমের সমান ৩টি মুরগির ডিম। যদিও, ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আরও পড়ুন: তেঁতুল খেলে যেসব উপকার পাবেন...

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে ১৮১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। হাঁসের ডিমে রয়েছে আমিষ ১৩ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি ১৩ দশমিক ৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম, লোহা ৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন এ ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম থাকে।

আর মুরগির ডিমে আছে ১৭৩ কিলোক্যালরি। ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ রয়েছে ১৩.৩ গ্রাম, ফ্যাট ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, লোহা ২.১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন এ রয়েছে ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম।

তা ছাড়া হাঁসের ডিমে সাদা অংশ অর্থাৎ অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেশি থাকে। ফ্যাট, ওমেগা থ্রি, প্রোটিনের পরিমাণও হাঁসের ডিমেই বেশি। নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে আপনার শরীরে রক্তে নতুন ব্লাড সেল তৈরি হয়। তার পাশাপাশি হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে ও ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পারে হাঁসের ডিম।

বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে, হাঁসের ডিমে খাদ্যশক্তি, আমিষ, চর্বি, শর্করা, লৌহ ও ক্যালসিয়ামের মুরগির ডিমের তুলনায় সামান্য বেশি থাকে। আর মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের তুলনায় ভিটামিন ‘এ‘ ও ভিটামিন ‘বি২’ সামান্য বেশি থাকে। চুলচেরা বিচারে হাঁসের ডিমকেই বেশি পুষ্টিমান ডিম বলা যেতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক