সংসারে জ্বলছে অশান্তির আগুন, ৯ টিপসে ফিরে পাবেন নিরন্তর সুখ

 নিজস্ব প্রতিবেদন    ২৩ জুলাই, ২০২৩ ১১:৪৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 14 বার

বিয়ের পর সংসার জীবন স্বামী-স্ত্রীর একেবাবেই নতুন অধ্যায়। সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীদের ভালোবাসা কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু সংসারতো একদিনের নয় বহু বছরের ও যুগযুগের। সংসার জীবনের পথটা মসৃণ সবসময় থাকে না মাঝেমাঝে তিক্ততাও আসে। সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীকে একটু কৌশলী হতে হবে।

আমেরিকার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ভেরিওয়েল মাইন্ডের গবেষণায়ও এমনটি বলা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে সংসারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলে তখন স্বামী-স্ত্রীকে অবশ্যই ৯টি টিপস মানতে হবে।

চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক…

১. ঝগড়ার সময় দুই জনের রাগ না করা: সংসার জীবনে ঝগড়া তো হবেই- এটাই স্বাভাবিক। তবে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সব সময় ঝগড়া করা ঠিক নয়। যদি কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় তাহলে একজন একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করবেন। দিন শেষে সংসারটা তো আপনাদেরই।

২. পুরোনো তিক্ততা সামনে আনা যাবে না: পুরোনো তিক্ততা থাকতেই পারে। কিন্তু সেই তিক্ততা নিয়ে চাপা দুঃখ কিংবা রাগ আপনার মনে রাখবেন না। সেই বিষয় নিয়ে আপনারা খোলাখুলি আলোচনা করে নিতে পারেন। এতে আপনোদের সম্পর্কটা অনেক ভালো হবে।

৩. হঠাৎ রেগে যাওয়া: প্রায় দেখা যায় ছোট ছোট বিষয় নিয়ে হঠাৎ করেই রেগে যাচ্ছেন যেটা আপনার সঙ্গী একেবারেই মানতে পারছেন না। কিন্তু এই সমস্যা বাড়লে সংসারে অল্প দিনেই অশান্তি বিরাজ করবে। পরিস্থিতি তুমুল পর্যায়ে যাওয়ার আগে নিজেই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: গরমে পায়ের যত্নে ৫ টোটকা...

৪. মন দিয়ে কথা শোনা: আপনার সঙ্গী কী বলছেন, সেই কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। তার কয়েকটি কথা শুনেই নিজের মতামত দিতে শুরু করবেন না। এতে আপনাদের মধ্যে সমস্যা বাড়বে। তার কথা শোনার সময় আপনি কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্তাতা দেখাবেন না। আপনার সঙ্গী পরবর্তীতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা আর শেয়ারই করবে না। তার কথার মাঝখানে বার বার প্রশ্ন না করেও ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের সম্পর্কটা ভালো থাকবে।

৫. মতামত চাপিয়ে দেবেন না: আপনার মতামত সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে দেবেন না। মতামতটিও শোনার চেষ্টা করুন। তিনিও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আগে থেকে কিছু চাপিয়ে না দিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে প্রাধান্য দিন। মতামতকে সম্মান করলে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।

৬. সঙ্গীর সব বিষয় পছন্দ না হলে: সঙ্গীর সব বিষয় পছন্দ হতে হবে তেমনটি নয়। তবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে কেন? সংসারে সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে হবে দুজনেরই। দুজনেরই আলাদা আলাদা খারাপ কিছু অভ্যাস থাকতে পারে। তাই আচরণগুলো আগে দেখুন, জীবন যাপনের বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।

৭. বেশি প্রত্যাশা নয়: সম্পর্কের সঙ্গে প্রত্যাশা জড়িয়ে থাকে। সম্পর্ক সুন্দর রাখলে হলে প্রত্যাশা কমাতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যে জোর দিন। নিজেদের মধ্যে কোয়ালিটি সময় কাটান। দেখবেন সংসারে সুন্দর সুন্দর সময় বয়ে আসবে।

৮. আর্থিক বোঝাপড়া: দাম্পত্য সম্পর্কে আর্থিক বোঝাপড়াও দরকার। সংসার চালানোর দায়িত্ব যদি স্ত্রীর উপর থাকে, তবে কোন খাতে কত টাকা লাগবে সে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। দুজনই কর্মজীবী হলে সংসারে খরচ চালানোর বিষয় গুলো আলোচনা করেই আগাতে হবে।

৯. ক্ষমা করে দেয়া: সংসার জীবনে কোনও না কোন ভুল হবে তা ক্ষমা করার মানসিকতা রাখতে হবে।

আপনারা যদি উপরে নয়টি বিষয় মেনে চলেন তাহলে আপনাদের সংসার জীবন অশান্তির আগুনের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং সংসারে বয়ে আসবে নিরন্তর সুখ ও শান্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদন