লৌহজংয়ের টিন-কাঠের রেডিমেড ঘর

 মোঃ আবু তৈয়ব    ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৯:৫৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 10 বার

কথায় আছে, অর্থ আর সামর্থ্য থাকলে বাজার থেকে কিনে আনা যায় যেকোনো পণ্য। তবে তা যদি হয় দুই কক্ষ এবং এক বারান্দাবিশিষ্ট টিন ও কাঠের ঘর। শুনতে অবাক লাগলেও এমন অন্তত অর্ধশত ঘরের হাট গড়ে উঠেছে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। ক্রেতাদের পছন্দের কথা ভেবে নানা কারুকার্য দিয়ে বাড়ি তৈরি করে কারিগররা।

নাইজেরিয়ান লোহা কাঠ ও গুণগতমানের টিন দিয়ে তৈরি নানা আকৃতির ঘর বিক্রি হয় ৩ লাখ থেকে ৩৫ লাখ পর্যন্ত এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক ডিজাইনের রেডিমেড বাড়ি।

বিভিন্ন রঙের টিন এবং উন্নতমানের কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাড়িগুলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো হাট ঘুড়ে কেনা যাবে এইসব পছন্দের বাড়ি। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় কাটপট্টি তে ঘর তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ধলাগাঁও বাজার ও হাতিমারা, বজ্রজোগিনীর মামাসারে, টঙ্গীবাড়ি বেতকা বাজারে, সিরাজদিখান এর মালখা নগর ও কুচিয়ামোড়া সহ জেলার ছয়টি উপজেলায় রয়েছে বৈচিত্রময় এই ঘরের হাট।

পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মুন্সিগঞ্জ। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয় বহু মানুষের বসতভিটা। ভাঙন দেখা দিলেই ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিতে হয় নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের।

এজন্যই কয়েক বছর ধরে চাহিদা বেড়েছে টিন ও কাঠের তৈরি রেডিমেড ঘরের। চাইলেই একটি ঘর যেমন সহজে কেনা যায়, নামমাত্র টাকা লোকসান দিয়ে সেটি বিক্রিও করা যায়। যেকোনো হাট থেকে ঘর কিনে, একদিনের মধ্যেই বসবাসের উপযোগী করেও তোলা যায়। জানা যায় ৯০ দশকে বাণিজ্যিকভাবে ঘর তৈরি করে বিক্রির প্রচলন শুরু হয় এ অঞ্চলে।

ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে মুন্সিগঞ্জের তৈরি কাঠ ও টিনের ঘর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

মুন্সিগঞ্জের এ হাটের বাড়িগুলো চাইলেই বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় স্থানান্তর করা হয় এমনকি পছন্দের যেকোনো জায়গায় বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। সে ক্ষেত্রে ভবনের খরচ এবং কারিগরের মজুরি আলাদা প্রদান করতে হয়।

মুন্সীগঞ্জের এই ঘর গুলোকে ভৌগোলিক নির্দেশক করনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এই এলাকার কৃতি সন্তান ও আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক লৌহজং শাখার ম্যানেজার জকিউল্লাহ সিদ্দিকী

মোঃ আবু তৈয়ব