সকালের যে সাতটি কাজে আপনার ওজন কমবে

 অনলাইন ডেস্ক    ১২ জুন, ২০২৩ ১২:০৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

ওজন ঝরাতে আপনারা কতকিছুই না করেছেন কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যাইনি। তাই ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এমন কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীর সুস্থ রাখতেও সহায়তা করবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক  উপায় গুলো।

সকালে যদি চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে আপনার, তাহলে সেগুলো চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করবেন। চিনিতে খুব বাড়তি ক্যালরি আছে, যাতে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকার জন্য আলাদা করে চিনি খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। চিনি থেকে কোন বিশেষ পুষ্টিও পায় না। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে চিনি যতটুকু এড়িয়ে চলবেন, ততই ভালো।

সকালে বাজার করা, বা বাচ্চাকে স্কুলে দিতে যাওয়ার সময় হেঁটে যেতে পারেন। খুব দূরত্ব বেশি হলে অল্প অল্প করে হাঁটা শুরু করুন। এরপর আস্তে আস্তে হাঁটার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন। খুব দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করবেন।

ওজন কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে একটানা ঘুম দরকার। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। সকালে উঠে হিসাব করে দেখুন কতক্ষণ ঘুমালেন। যদি ঘুম কম হয় তাহলে ঘুমের রুটি পরিবর্তন করতে হবে।

সকালে উঠে পানি খেলে দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে। বেশি করে পানি খেলে শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়। আর এই টক্সিন হল ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই সকালে উঠেই শরীর ঝরঝরে করে ফেলুন পানি খেয়ে। দেখবেন ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, এইসবধারণা ভুল। বরং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন অন্যতম ভরসা। সকালের খাবারে কাঠবাদাম, দুধ ও ডিম রাখতে পারেন। এই গুলো খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে।

অনেকেরই মনে হতে পারে ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করার পরেও রোগা হতে ধ্যান করা কতটা প্রয়োজনীয়। মনের সঙ্গে ওজনের একটা সম্পর্ক রয়েছে, অনেকেই তা জানেন না। মন যদি অস্থির থাকে, তা হলে কোনো পরিশ্রমই কাজে আসবে না। তাই মনের খুলা রাখাও প্রয়োজন।

আগে থেকে ঠিক করে রাখুন পরের দিন সকালে কত ক্ষণ শরীরচর্চা করবেন। সেই অনুযায়ী ঘুম থেকে উঠুন। শরীরচর্চায় খামতি থাকলে ওজন ঝরানো কঠিন হয়ে পড়বে।

অনলাইন ডেস্ক