বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে এমপিও ভুক্তির আবেদনের অভিযোগ

 কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি    ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৪৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 22 বার

একটি বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে এমপিও ভুক্তির আবেদনের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মস্তুফার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া সহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।

গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিদ্যালয় চত্বরে সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, ২০১৪ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মোঃ মাজহারুল হক মাসুদ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা নামে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন।

এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে এ নিয়োগের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সহকারী জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ফলে গোলাম মোস্তুফা প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ে আর যোগদান করতে পারেননি। মামলাটি বর্তমানে চলমান।

এছাড়াও এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গোলাম মোস্তুফার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। একাধিক মামলার পরেও হাল ছাড়েননি গোলাম মোস্তুফা। সাবেক সভাপতি মোঃ মাজহারুল হক মাসুদের যোগসাজসে ২০২১ সালে তার স্বাক্ষরিত একটি পেশাগত দক্ষতার সনদ ও প্রত্যয়নপত্র নেন গোলাম মোস্তুফা।

পরে ২০২৩ সালে বর্তমান সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদের স্বাক্ষর জাল করে একাধিক কাগজপত্র তৈরী করে গোলাম মোস্তুফা তার নাম এমপিও ভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন করে এমপিও ভুক্ত হন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। পরে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ১৮ মার্চ গোলাম মোস্তুফার এমপিও ভুক্তির আদেশ স্থগিত করেন।

আরও পড়ুন: বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন...

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ আরও বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে এই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে রয়েছি। অথচ সাবেক সভাপতি মাজহারুল হক মাসুদ ২০২১ সালে কি করে তার স্বাক্ষরে গোলাম মোস্তুফাকে পেশাগত দক্ষতার সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন?

এছাড়াও গোলাম মোস্তুফা ২০২৩ সালে আমার স্বাক্ষর জাল করে তার নাম এমপিও ভুক্তির জন্য মাউশিতে আবেদন করেছেন। আমি এদের দুইজনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম মোস্তুফা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বর্তমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভুক্তির আবেদনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য সাইদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল মোমেন, মাজহারুল হক এংরাজ, সহকারী শিক্ষক হাফিজ উল্লাহ, মাসুদ আহমেদ, আলী হোসেন, মনি রানী গুন, তাসমিন আক্তার, চন্ডিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মো. ইব্রাহিমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি