জাবিতে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে

 জাবি প্রতিনিধি    ২১ মার্চ, ২০২৪ ১২:৩৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 9 বার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা ৪ জন বহিরাগতকে আটকে রেখে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৪টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

মারধর এবং ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন, কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার। তারা সকলেই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আমরা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসি। এসময় একজন আমাদের পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর আমাদের গালিগালাজ করে। পরে আরও তিনজন এসে আমাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

সেখানে আমাদের আটকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাদের দেই। তারা আমাদের সাথে থাকা একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়।

আরও পড়ুন: ভিডিও কপি করার অভিযোগ পরীমণির, জবাব দিলেন বুবলী...

ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাছিলো। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিলো। এ সময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তীতে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করি। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাবি প্রতিনিধি