আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস

 অনলাইন ডেস্ক    ১৫ অক্টোবার, ২০২৪ ১১:১৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের তৎকালীন টেলিভিশন কক্ষের ছাদ ধসে ৪০ জন নিহত হন। এরপর থেকেই হতাহতদের স্মরণে প্রতি বছর এ দিনটি স্মরণ করা হয়।

১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর।সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অগণতান্ত্রিক শাসনবিরোধী প্রতিবাদে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তখন প্রতি মঙ্গলবার বিটিভিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিক নাটক ‘শুকতারা’ প্রচারিত হতো। সেদিনও রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয় নাটক। আর নাটকটি দেখতে জগন্নাথ হলের তৎকালীন অনুদ্বৈপায়ন ভবনের টেলিভিশন কক্ষে প্রায় ৪০০ ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়ো হন।

এদিকে, ১৯২১ সালে নির্মিত জগন্নাথ হলের ওই ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আবার ওইসময় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপজনিত কারণে রাজধানীর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যায় এবং প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। এতে ভবনটির ছাদ বৃষ্টির পানিতে নরম হয়ে যাওয়ায় আগে থেকেই বৃষ্টির পানি পড়ছিল। রাত পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ ভবনটির ছাদ ধসে পড়ে।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দিচ্ছে এসিআই...

এতে যারা দরজা বা জানালার পাশে বসেছিলেন, তারা বের হতে পারলেও অধিকাংশই সেদিন চাপা পড়েন। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৪০ শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী। ভবন ধ্বসের পর পুরো ভবনটিই গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে ওই একই জায়গায় 'অক্টোবর স্মৃতি ভবন' নামে জগন্নাথ হলের নতুন একটি ছাত্রাবাস তৈরি হয়।

নিহতদের স্মরণে অক্টোবর ভবনের নিচতলায় একটি ছোট জাদুঘর তৈরি করা হয়। সেদিনের ব্যবহৃত টিভিটিও রাখা আছে এই জাদুঘরে। মৃত্যুবরণ করা বেশ কয়েকজনের ছবিও আছে সেখানে।

এছাড়া ভবনটির সামনে নিহতদের স্মরণে তাদের নাম সংবলিত একটি নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। নামফলকের নিচে টিভি কক্ষের সিড়িটিকে আজো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এবং টিভি কক্ষের স্থানে একটি সাদা রংয়ের শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে।

ভবন ধসের ওই ঘটনার পর প্রতি বছর এই দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবারও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনলাইন ডেস্ক