শিক্ষকের টাকা আত্মসাৎ, হাতে নাতে ধরলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা

 মোঃ নাঈম মাহমুদ    ৮ সেপ্টেম্বার, ২০২৪ ১১:১৭:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 7 বার

দিনাজপুরের বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষকের টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা হাতে নাতে ধরা পড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার কাছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর জেলাধীন হাকিমপুর উপজেলার হিলি বাজারে (প্রধান শিক্ষকের নিজের দোকানে) এই ঘটনা ঘটে।

সূত্র মতে জানা যায় যে, ২০২১ সালে এস,এস,সি পরীক্ষার পূর্ণ ফরম ফিলাপ করানো হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু করোনায় তীব্র আকার ধারন করলে সরকার মাত্র ৩টি বিষয়ে মুল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে সরকার বাকি যে বিষয় গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো না,সেগুলোর পূর্ণ টাকা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে, শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছিল।

চিঠি পাওয়ার পরও গোলাম মোস্তফা কামাল স্যার কোন শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয় না। বরং আত্মসাৎ করে ফেলে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বেরিয়ে আসে। সেটা থেকে বাদ যায়নি বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি। বৈষম বিরোধী ছাত্র জনতার পর পর অভিযানে বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

এর আগে, এক গোপন সূত্রে জানা যায় স্কুলের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ইট তিনি তার বাসার কাছে ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এছাড়া আগে ২০২৩ সালে সার্টিফিকেট জালিয়াতিতেও শাস্তি (১ মাস কারাদন্ড) ভোগ করেন। সমন্বয়করা জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা যখন বিষয়টি তদন্তের শর্তের ভিতর অন্তর্ভুক্ত করেন।

ঠিক তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফা কামাল তার দোকানে ২০২১ সালের শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিতে গেলে আমরা তাকে হাতে-কলমে ধরে ফেলি।

প্রধান শিক্ষক (মোঃ মোস্তফা কামাল) তার দুর্নীতি ঢাকতেই আজকে সকল শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিবে এই আশ্বাসে আসতে বলেন।

সমন্বয়করা তাকে প্রশ্ন করেন ২০২১ সালের ফেরত দেওয়া টাকা আপনি এতদিনও কেন দেন নাই, প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যম ও সমন্বয়কদের কিছু জানাননি। সমন্বয়করা আরও বলেন, আমার তাকে যত প্রশ্ন করেছি তিনি আমাদের কোন জবাব দেননি। আমরা চাই তার দুর্নীতির বিষয়গুলো সবার জানা দরকার।

তারা জানান ,আমরা যেই প্রমাণ গুলো হাতেনাতে পেয়েছি সেগুলো আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কর্তব্যরত থানায় হস্তান্তর করব। বর্তমানে তার পদত্যাগ এর দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।

মোঃ নাঈম মাহমুদ