নতুন শিক্ষাক্রমের ভয়াবহতা আসার আগেই পরিবর্তন জরুরি

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ৮ আগষ্ট, ২০২৪ ১৩:২৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 6 বার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন এর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। এতে ইরফান নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।

মো: আল মামুন নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, নতুন কারিকুলাম বাতিল করতে হবে। তাহমিনা আফরিন নামে একজন অভিভাবক মন্তব্য করেন, প্রিয় অগ্রজ এবং অনুজ যত ভাইবোন আছেন প্লিজ এইটা যেন অবশ্যই চেঞ্জ হয় সেটা আপনারা খেয়াল রাখবেন।

নতুন শিক্ষাব্যবস্থা কোনভাবেই আমাদের কাম্য নয়। একজন মা হিসেবে সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। পুরাই বিবেকহীন এক শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়েছে, দেশটাকে মেধাশূন্য করার এক অপচেষ্টা।

সাদিয়া নাদিরা নামে একজন জানান, নতুন কারিকুলাম বাতিল করতেই হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে এই কারিকুলাম পরিবর্তন আবশ্যক। মাহমুদুল আলম সিফাত নামে একজন জানান, এই বস্তি মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থা বাদ দিতে হবে।

নইলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলে আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যে জাতি পুরোপুরি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। ফরিদা ইয়াসমিন নামে একজন জানান, আগের কারিকুলাম চাই। নতুন কারিকুলাম বাতিল করতে হবে।

পারভিন আক্তার কণা নামে একজন মন্তব্য করেন, নতুন কারিকুলাম পরিবর্তন চাই এবং আগের শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা টা জরুরি। আজ লক্ষ লক্ষ বাচ্চারা শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে আগামী প্রজন্ম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক প্রফেশনাল এমএড আইইআর এর শিক্ষার্থী এবং জিনিয়াস শিক্ষা পরিবার এর পরিচালক মো: জিকরুল হক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে লেখেন, শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন এর জোরালো দাবি জানাই।

নতুন শিক্ষাক্রম নামক ভয়াবহ অলসতার বইগুলো পরিবর্তন করা জরুরি নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে শত শত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন এর জন্য সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন।

মূল্যায়ন ব্যবস্থা না থাকায় এবং ইন্টারনেট নির্ভর প্রশ্নপত্রের কারনে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই মোবাইল বা মুঠোফোনে আসক্ত হচ্ছে বিধায় এ শিক্ষাব্যবস্থা অতিদ্রুত পরিবর্তন এর দাবি করে আসছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক