দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর

 অনলাইন ডেস্ক    ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৫৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 11 বার

দেশের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আমদানিনির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানি থেকে বের হতে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রে অনুসন্ধান ও উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে সরকার।

জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি আমদানি করা যাচ্ছে না। একই কারণে জ্বালানির বিলও পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমদানি করা প্রতি ইউনিট (এক হাজার ঘনফুট) এলএনজির দাম দেশীয় গ্যাসের চেয়ে ৫৫ টাকা বেশি।

মোট চাহিদার মাত্র ২৩ শতাংশ আমদানি করতে বছরে কমবেশি ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হয়েছে।


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে আমরা চাহিদার ২৩ শতাংশ এলএনজি আমদানি করছি। এতে অনেক বেশি ব্যয় হচ্ছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাংনীতে ১৭ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকা...

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে যে গ্যাস পাচ্ছি, এর প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে ৪ টাকা। আর আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে ৬০ টাকার মতো। দেশের গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি করতে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে একশ কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে গ্যাস উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়বে। এজন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি পেট্রোবাংলা ২০২৮ সালের মধ্যে মোট ১০০ কূপ খননের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক