মেহেরপুরে সবজি বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

 অনলাইন ডেস্ক    ১৮ নভেম্বার, ২০২৩ ১৪:৪১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 15 বার

মেহেরপুরে শীতের আগামনীতে কৃষিনির্ভর স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শিম, বেগুন, করলা, মুলা ও পালং শাকের মতো অনেক সবজির দাম কমে এসেছে। শুধু এগুলো নয়, অধিকাংশ সবজি দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম।

ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, শীত পড়াতে সবজি উৎপাদন বেড়ে গেছে সত্যি, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকায় সবজি পাঠাতে না পেরে কম দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। এভাবে চলতে থাকলে লোকশান গুনতে হবে তাদের।

গত সপ্তাহে যেখানে প্রতি কেজি শিম ছিল ৬৫ থেকে ৬০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, বেগুন ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা তা এখন ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটল ১৫ থেকে ২০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা ও পালং শাক ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলেন, গত সপ্তাহে আমি চাষিদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে বেগুন কিনে বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়, আজ কিনেছি ২০ টাকা করে। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে আজ ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি।

আরও পড়ুন: আরও ২৬ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি...

সবজি বিক্রেতারা আরও বলেন, যখন যেমন দামে সবজি কিনি, তখন তেমন দামে বিক্রি করি। বাজারে মূলত সবজি দাম বাড়ে উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে। বাজারে শীতকালীন প্রায় সব সবজিই উঠেছে।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে সবজি দাম কমে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। আজ আমি ২ শ’ টাকার বাজার করেছি, তাতেই ব্যাগ ভর্তি হয়ে গেছে। বেগুন, শিম, মুলা, পটল, বাধাকপিসহ কয়েকটি সবজি কিনেছি। এমন বাজারদর থাকলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুব ভালো হয়।

চাষিরা বলেন, বতর্মানে সার, বিষ, শ্রমিকসহ সব জিনিসের দাম বেশি। এখন সবজি চাষে আগের থেকে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। যে দামে সবজি বিক্রি করছি এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকশান হবে।

চাষিরা আরও বলেন, বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করতে যাচ্ছি, তারা সবজির দাম কম বলছে। ঢাকার পার্টি বাজারে আসলেও তারা এখন এ সবজিই বেশি দামে কিনতে চাইবে। হরতাল অবরোধের কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা না আসায় এমনটি ঘটেছে।

অনলাইন ডেস্ক