টমেটো ও গাজরে সেঞ্চুরির সাথে সাথে কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৩ জুন, ২০২৩ ১৭:৩৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 19 বার

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কিছুদিন আগেও বাজারে যে কাঁচা মরিচের দাম ছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা আর সেই কাঁচা মরিচের বর্তমান বাজার মূল্য ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

কোরবানি ঈদ মানেই চারিদিকে মাংসের ছড়াছড়ি। আর মাংস খাওয়ার সাথে গাজর ও পাকা টমেটো ছাড়া যেন পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়না। আর এই পরিপূর্ণতা পেতে হলে আপনাকে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। কারণ কাঁচা মরিচের পাশাপাশি বাজারে গাজর ও পাকা টমেটোর দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি গাজর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।

যারা বিভিন্ন অসুখের কারনে মাংস খেতে পারেন না। তারা মনে করতে পারেন মাংস রান্নার জন্য মরিচ ও পেঁয়াজের বাড়তি খরচের হাত থেকে এবার বেচে যাওয়া যাবে কিংবা ভাবতেই পারেন মাংসের সাথে গাজর ও পাকা টমেটো খাওয়া একটা বাড়তি খরচ। তাদেরও নিস্তার নেই। কেননা, কোরবানির আগে রাজধানীর সহ দেশের সকল বাজারগুলোতে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি।


এক পিস লাউ কিনতে আপনাকে গুনতে হবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটির।  এক কেজি কচুর লতি কিনতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এক কেজি ঝিঙা কিনতেও আপনাকে গুনতে হবে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

ধুন্দলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করল্লা। ঢ্যাঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

তবে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বেশি হওয়ার ব্যপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় মরিচের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। আবার কিছুদিন পর কোরবানির ঈদ, পরিবহন চালকরা এখন গরু নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণেও ঢাকায় মরিচ ও সবজি আসা কমেছে। এসব কিছু মিলেই বাজারে বেড়ে গেছে দাম।


বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কলা।

যারা ভাবছেন দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তি হলেও কোন সমস্যা নেই, আমরা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবো। তাদের জন্যও নেই কোন স্বস্তি। কেননা, বর্তমান বাজারে ভারত থেকে আমদানির পরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রায়লার মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

ব্যবসায়ীরা ব্রায়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। তবে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

আর গরুর মাংস আগের মতোই, অধিকাংশ বাজারে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গরু ও মাংস আমদানি চেয়ে হাইকোর্টে রিট...

এদিকে মাছের বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

আরও পড়ুন: স্মার্ট বাজেটে কমছে ইন্টারনেটের দাম...

তবে বোয়াল, চিতল ও ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই নিম্ন-মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে। বোয়াল, চিতল মাছে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক