নিয়মিত ঘুমের ঔষুধ সেবনে মৃত্যু ডেকে আনছেন না তো

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ১১ মার্চ, ২০২৪ ১৬:২৫:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 9 বার

সারা দিনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি কাটানোর জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তবে অনেকেরই ঘুম আসে না। চেষ্টা করেও ফলাফল মেলে না। এর ফলে ঘুমের ঔষুধের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েন আপনার অনেকেই।

অবশ্যই মনে রাখবেন, ঘুমের ঔষুধ দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান নয়। সুস্থ থাকতে হলে আপানকে এটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে এগুলি দুই সপ্তাহের বেশি কোনো ভাবেই নেওয়া উচিত নয়।

তবে ঘুমের ঔষুধ আপনার ঘুম আনলেও আপনি কি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন। তাই চলুন জেনে নিই ঘুমের ঔষুধ নিয়মিত খেয়ে কী কী বিপদ আছে…

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক স্লিপ ডিসঅর্ডার সেন্টারের একজন চিকিৎসক প্রীতি দেবনানি বলেছেন, আপনি যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রেসক্রিপশনে ঘুমের ঔষুধ খান, তখন আপনার শরীর ঔষুধের সাথে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। এ কারণে ঘুমের ঔষুধ দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করা উচিত নয়।

অন্য পদার্থের সাথে ঘুমের ঔষুধ মেশানো উচিত নয়: ঘুমের ঔষুধের ক্ষেত্রে ডোজের দিকে মনোযোগ দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে আপনাকে অন্য ঔষুধগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘুমের ঔষুধ সেবনের সময় অ্যালকোহল পানে মৃত্যুও হতে পারে।

আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল...

তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং কম সতর্ক বোধ করা: ঘুমের ঔষুধের কারণে এক ধরনের ঘোর কাজ করে। যা মাথা ঘোরা, ঝিমুনি ভাবের মতো সমস্যা হতে পারে।

অস্বাভাবিক আচরণ: অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলা বা স্থূল কথা বলা ঘুমের ঔষুধের আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অনেকেই ঘুমের ঔষুধ খাওয়ার পর এ ধরনের আচরণ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য মেডিটেশন করা জরুরি।

কোমা অথবা মৃত্যু: দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ঔষুধ খেলে অবসাদগ্রস্ত বা বিষাদগ্রস্ত শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এর ফলে মৃত্যু বা কোমা হতে পারে। যারা অ্যাজমার রোগী তাদের এই ঔষুধ সবসময় এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ব্যতীত যে ওষুধগুলো বিক্রি করা যায় না, ঘুমের ঔষুধ তার মধ্যে অন্যতম। ঘুমের ঔষুধের ফলে দেহে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ঔষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি।

নিজস্ব প্রতিবেদক