এবার ভয়ানক রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু

 অনলাইন ডেস্ক    ৫ জুলাই, ২০২৩ ১২:৫৮:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০১৯ সালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্-বর্ষা জরিপের তথ্য বলছে, এবারের পরিস্থিতি ২০১৯ সালের চেয়েও কয়েক গুণ খারাপ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য প্রজননস্থলের সংখ্যা সর্বোচ্চ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশে ডেঙ্গর পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০১৯ সালে । এবারে ডেঙ্গু সেই ২০১৯ সালের থেকেও আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্-বর্ষা জরিপের তথ্য বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য প্রজনন স্থলের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টি ওয়ার্ডই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৯ সালে উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল ২১টি ওয়ার্ড।

চলতি বছর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় চলতি বছরে এক দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুুন: একদিনে ডেঙ্গু কেড়ে নিল ৪ প্রাণ, হাসপাতালে ৪৩৬...

এই সময়ে মারা গেছেন পাঁচজন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন। দেশে পূর্বের বছর গুলোতে প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ রূপ আর কখনো দেখা যায়নি।

২০১৯ সালে প্রথম ছয় মাসে মারা গিয়েছিলেন ৮ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ২০৮ জন। সেই তুলনায় চলতি বছরে ৬১ জনের মৃত্যুতে ভয়াবহ রুপ নিতে যাচ্ছে ডঙ্গেু।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। আর কতগুলো বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, তা পরিমাপের সূচক হলো হাউস ইনডেক্স। প্রাক্-বর্ষা মৌসুম জরিপের এই দুই সূচকেই ডেঙ্গু পরিস্থিতির উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা জানায়, ঢাকার দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টি ওয়ার্ডেই ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি।

এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। গত বছর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৩টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি ছিল। এবার এডিস মশা পাওয়া গেছে এমন বাড়ির শতকরা হারও উদ্বেগজনক। সাধারণত কোনো ওয়ার্ডের হাউস ইনডেক্স ১০-এর বেশি হলে উদ্বেগজনক ধরা হয়। এবার ৯৮টি ওয়ার্ডের ৮০টি ওয়ার্ডেই হাউস ইনডেক্স ১০-এর বেশি পাওয়া গেছে। গত বছর হাউস ইনডেক্স ১০-এর বেশি ছিল ১৯টি ওয়ার্ডে।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, এবার বছরের প্রথম ছয় মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশে সাধারণত জুনের পর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। তাই আগামী দিনগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। আর আক্রান্ত বেশি হলে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

অনলাইন ডেস্ক