ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের শীবনগর গ্রামের মোঃ মুস্তাক হোসেন (২৫) নামের কলেজ ছাত্র এই রবি মৌসুমে তার ২০ শতক জমিতে এই প্রথম ২ হাজার রঙ্গিন ফুল কপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
মোঃ মুস্তাক হোসেন কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের শীবনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সেলিম হোসেনের ছোট ছেলে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মুস্তাক হোসেন। তিনি পড়াশোনা পাশাপাশি একজন সফল কৃষক।
তিনি রঙ্গিন ফুল কপি চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার জমিতে হলুদ, বেগুনি ও সবুজ রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসছেন। কেউ আবার ফুলকপি কিনছেন এবং চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন কিনলেন সাত অভিনেত্রীরা...
এই ফুল কপি চাষ করে অনেক টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মুস্তাক হোসেন।
মুস্তাক হোসেন বলেন, আমার এই কপি চাষ করতে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৮০ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে রঙ্গিন এ ফুলকপি। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি।
তিনি আরও বলেন, এই কপি চাষে রাসায়নিক সার ও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এলাকাতে নতুন ফসল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে এসব রঙিন ফুলকপি ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, মুস্তাক হোসেন একজন ছাত্র হয়েও তার নিজের জমিতে সব সময় উন্নত জাতের কিছু একটা সবজি চাষ করেন। এ বছরও তিনি প্রথম বারের মত আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনী ও সবুজ রংয়ের ফুল কপি।
তিনি আরও বলেন, এ ফুলকপি পুষ্টিগুন মানসম্মত হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপি চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। সকল প্রকার চাষিদের সার, বীজসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নিয়মিত সহায়তা করছে কৃষি অফিস। রঙ্গিন কপি ভ্যালেনটিনা ও ক্যারোটিনা চাষাবাদে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
