দাম বাড়লেও নীলফামারীতে বদলাচ্ছে না আলুচাষিদের ভাগ্য!

 অনলাইন ডেস্ক    ১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:২৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 6 বার

বর্ষার শুরুতেই নতুন করে আলুর দাম বাড়াতে ভোক্তারা দিশেহারা। নীলফামারীতে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় আলুর পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও বর্ষার শুরু থেকেই আরেক দফা দাম বাড়ছে। এ সময় তাদের ঘরে বাজারে বিক্রি করার মতো কোনো আলু থাকে না।

নীলফামারী দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলা। গত ৫ বছরের হিসাবে প্রতি বছর এ জেলায় গড়ে আলু উৎপাদন হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো। বীজসহ জেলায় বাৎসরিক আলুর চাহিদা ১ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন।

প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত আলু দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হয়। তবে আলুর উৎপাদন বেশি হলেও জেলায় সংরক্ষণের অভাব রয়েছে যথেষ্ট। মাত্র ১১টি হিমাগারে ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ৮৮ হাজার ৬শ মেট্রিক টন। আর মজুত হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন। বছরে জেলায় বীজ ছাড়া আলুর চাহিদা ৭৫ হাজার ৫৮৪ মেট্রিক টন।

এ মৌসুমের প্রায় অর্ধেক সময় পার হলেও হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত আছে ৬২ হাজার ৩৮ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, ‘নীলফামারী আলুতে উদ্বৃত্ত উৎপাদনকারী জেলা হলেও ভোক্তাদের বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে।

তাছাড়া প্রান্তিক চাষিদের আলু সংরক্ষণের জন্য মডেল ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি।’ জেলার কৃষি বিপণন অধিদফতর প্রান্তিক চাষিদের আলু সংরক্ষণের জন্য এ পর্যন্ত ২৬টি অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন; প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন।

অনলাইন ডেস্ক