পরিত্যক্ত জমিতে আমবাগান করে লাখ টাকা আয়

 অনলাইন ডেস্ক    ২২ জুন, ২০২৩ ১৩:৩০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 38 বার

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের উওর- ধরান্দী ধনিয়া পুর গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ মো. মশিউর রহমান ঈসার পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজের আগ্রহ ছিলো ব্যাপক। তাই সে ২০১৩ সালে ১৭০ শতাংশ জমিতে মল্লিকা ও আম্রপালি জাতের আম চাষ করেন।

আমবাগান থেকে প্রতি মৌসুমে লাখ টাকা আয় করছেন মশিউর রহমান ঈসা। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকে আমবাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কমলাপুর ইউনিয়নের উত্তর-ধরান্দী ধনিয়া পুরা গ্রামের হাজি আব্দুল মাজেদ হাওলাদারের ছোট ছেলে হাফেজ মো. মশিউর রহমান ঈসা।

জানা গেছে, ঈসা নিজ গ্রামে প্রথমে ২০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ড্রাগন ফলে তেমন সফলতা অর্জন করতে পারেনি, তাই তিনি ১০০টি আম গাছ লাগিয়ে এক মৌসুমে দুই টনের বেশি আম উৎপাদন করেন।

২০১৩ সালে রাজশাহী থেকে প্রথম ১০০টি মল্লিকা ও আম্রপালি জাতের আমের চারা কলম নিয়ে আসেন পটুয়াখালীতে। দীর্ঘ সময় পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে ২০২২ সালে প্রথম গাছে ফল আসে। সে বছর এক টনের মতো আম বিক্রি হয় বাগান থেকে।

এ বছর ঈসা তার বাগানের আম বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। প্রথম দিকে প্রতি মণ আম ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কারণ বাজারে বিভিন্ন জাতের আমের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এই আম দিন দিন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে দেখা যায় এ বছর দুই লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছেন এই উদ্যোক্তা।

আরো পড়ুন: ভারতীয় মিষ্টি আঙুর চাষে সফল লাভলী আক্তার...

হেলাল চৌধুরী নামে এক আম চাষি বলেন, এ জাতের আম মৌসুমের শেষে উত্তোলন হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি ভালো দাম পাওয়া যায়। সে জন্য ঈসার দেখাদেখি এ বছর আমি কিছু জমিতে এ জাতের আম চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।

আম চাষি ঈসা বলেন, প্রথমে যখন বাগানটা করি তখন খুব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিলো আমাকে। আমার এই বাগানের আম একদম প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে। গাছে যখন আম পরিপক্ব হয় তখন আমি আম পেড়ে থাকি এবং অনলাইনে ও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।

আলহামদুলিল্লাহ আমার আমবাগান থেকে অনেক টাকা আয় হয়। আমার এই বাগান দেখে এলাকার অনেক যুবক ও এগিয়ে এসেছে এবং আমার কাছ থেকে কলম নিয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর ৯৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এই অঞ্চল এখন আমবাগান করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠছে। কেউ আমের বাগান গড়ে তুললে আমাদের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।

উদ্যোক্তা ঈসা সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন।

অনলাইন ডেস্ক