কমলা-মাল্টার চারা তৈরি করে স্বাবলম্বী তেঁতুলিয়ার আতাউর

 অনলাইন ডেস্ক    ৫ জুলাই, ২০২৩ ১৫:২৮:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 16 বার

কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পদ্ধতি। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে উন্নত জাতের গাছের চারা তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার আতাউর রহমান খান। কয়েক বছর আগে তিনি ছিলেন বেকার। এখন বিদেশি উন্নত মানের চারা তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন আতাউর রহমান

তেঁতুলিয়া উপজেলা তিরনইহাট ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে বাড়ি আতাউর রহমান খানের। তার ৫০ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন ‘অজি সাইট্রাস বিডি’ নামের নার্সারি।

নার্সারিতে রুট-সায়ন করে তৈরি করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি মাল্টা ও কমলার চারা। ইম্পেরিয়াল ম্যান্ডারিন অস্ট্রিলিয়ান কমলা, দার্জিলিং ও পাকিস্তানি কমলা, মাল্টা বারি ওয়ান গাছের চারা তৈরি করেছেন আতাউর। এসব চারা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

এছাড়াও নার্সারিতে লাগিয়েছেন আম, বিদেশি বিভিন্ন মসলা জাতীয় গাছ ও আঙুর ফলের গাছ। মহামারি করোনাকালে প্লাস্টিক বোতলে পেঁয়াজ ও রসুন চাষ করে অবাক করেছিলেন আতাউর রহমান খান।


চারা তৈরি করে নিজের ২৫ শতক চা বাগানে মাল্টা চাষ করছেন। রুট স্টক ও সায়নের মাধ্যমে জাম্বুরা গাছকে কমলা গাছে পরিণত করেছেন তিনি। এসব গাছে ধরেছে প্রচুর মাল্টা।

আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত জমিতে আমবাগান করে লাখ টাকা আয়...

জানা যায়, কৃষক আতাউর রহমান খান এইচএসসি পড়ার পর আর পড়ালেখা করতে পারেননি। কোন কাজ না পেয়ে ঝুঁকে পড়েন কৃষি আবাদে। কিভাবে নিজস্ব চিন্তায় বিদেশি ফলের চারা তৈরি করা যায় তা নিয়ে ভাবতেন সারাক্ষণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তেঁতুলিয়ায় উপজেলায় ব্যাপক আকারে চায়ের জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে বেলে- দোআঁশ মাটিতে নানা রকম বিদেশি ফল ও ফুল চাষ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তেঁতুলিয়ার চাষিদের মধ্যে তিরনইহাট এলাকার একজন নার্সারির মালিক আতাউর রহমান। সম্প্রতি তিনি চা বাগানে মাল্টা চাষ সফলতার মুখ দেখছেন। তার পাশাপাশি নার্সারিতে বিভিন্ন রকমের বিদেশি ফলের গাছের চারা তৈরি করে তা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

অনলাইন ডেস্ক