কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ধানের চারা লাগিয়ে প্রথম ধান কাটার পর কয়েক দিনের মধ্যে দু’বার ফলন পেয়ে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন চাষী।
হোসেনপুরের কৃষক আব্দুল সাহেদ সাড়ে চার বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চারা রোপণ করেন।
গত মে মাসের শুরুতে প্রথম পর্যায়ে কৃষক আব্দুল সাহেদ ফসল কর্তন করে ঘরে তোলেন। পরবর্তীতে ৮-১০ দিনের মধ্যে জমিতে ধানের নাড়া থেকে পুনরায় নতুন গাছ গজিয়ে ধান ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে যায়।
স্থানীয় কৃষি অফিস পরামর্শ দেন ধানের নাড়াগুলো নষ্ট না করে রেটুন পদ্ধতিতে সামান্য ইউরিয়া ও টিএসপি সার ছিটিয়ে নতুন গজিয়ে উঠা ধান গাছের পরিচর্যা করেন। এতে নতুন করে ধানের শীষ বেড়িয়ে একপর্যায়ে তা পরিপক্ক হয়। ওই ক্ষেত থেকে দ্বিতীয় দফা ফসল কাটতে শুরু করেন কৃষক।
আরো পড়ুন: কৃষিতে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ
কৃষক আব্দুল সাহেদ বলেন, গত বছর কৃষক মেনু মিয়ার খেতে এভাবে ধান উৎপাদন হয়। তাই আমি এ বছরে এ পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করি। প্রথম পর্যায়ে ধান কাটা পর কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের চারা গজিয়ে খেতে ধানের শীষ বের হয়। তারপর ধীরে ধীরে ধান পাকতে শুরু করে। এই ধান খেতে কোনো ধরনে সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। তবে সব ধানে এরকম উৎপাদন হয় না। কেবলমাত্র হাইব্রিড তেজ গোল্ড, ঝলক, ছক্কা ও ধানীগোল্ড ধানে দ্বিতীয়বার ধান উৎপাদন করা যাই।
দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতি একর জমি থেকে ১৪ থেকে ১৫ মণ হিসেবে সাড়ে চার একর জমি থেকে ৭০ মণ ধান ঘরে তুলবেন বলে আশা করেন কৃষক আব্দুল সাহেদ।
ঢেকিয়া গ্রামের কৃষক মেনু মিয়া বলেন, গত বছর আমার দুই একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করি। ফলন হয়েছিল অধিক। তাই এ বছর চার একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করি। আমার ক্ষেতের ধান দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন চাষীরা।
স্থানীয় কৃষক রমিছ জানান, এ পদ্ধতিতে একই জমি থেকে দু’বার ফসল উৎপাদনের বিষয়ে আমার তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি আগামীতে এ পদ্ধতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ফসল উৎপাদন করার ইচ্ছা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজাহান কবির বলেন, এটি একটি আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একবার ধান বীজ রোপণ করেই দু’বার ফসল উৎপাদন করা যায়। এতে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
অনলাইন ডেস্ক


















































































