রোজার বিক্রির জন্য আনারসে মেশানো হচ্ছে রাসায়নিক

 অনলাইন ডেস্ক    ৯ মার্চ, ২০২৪ ১৪:২১:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 8 বার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মূলত দুই ধরনের আনারসের আবাদ হয়। যা জুন-জুলাই মাসে ‘ক্যালেন্ডার ও জলডুগি’ আনারস বাজারজাত করা হয়। তবে রমজান সামনে রেখে মার্চ মাসেই বাজারে মিলছে আনারস।

চাষিদের একটি সূত্র জানায়, অতি মুনাফালোভী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে এ জাতের আনারসকে বাজারজাত করছেন। ভিটামিন ও খনিজ লবণসমৃদ্ধ এই ফলকে ‘বিষে’ পরিণত করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা আনারস খেলে অ্যালার্জি, চর্মরোগ থেকে শুরু করে ক্যানসারেও আক্রান্ত হতে পারে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মধুপুরে ৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৪ হেক্টরে জলডুগি এবং ৬ হাজার ৫১০ হেক্টরে ক্যালেন্ডার প্রজাতির আনারস আবাদ হয়েছে।

আরও পড়ুন: গোসলের পর কি নতুন করে অজু করতে হবে?...

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুনাফালোভী কৃষক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মিলে আনারসের চারায় গুটি ধরা, বড় করা ও পাকানোর কাজটি করছেন রাসায়নিক দিয়ে। ৪৫ পাতা হওয়ার পর আনারসের চারায় গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা যায়। যা ১২-১৫ পাতা হওয়ার পরই তা ব্যবহার করছেন।


কুড়িবাড়ি এলাকার চাষিরা বলেন, ১৬ লিটার পানির কনটেইনারে দুই-তিন বোতল রাসায়নিক মিশিয়ে আনারসে স্প্রে করছি। ৭ দিনের মধ্যেই দারুণ কালার হয়ে পেকে যাবে। কয়দিন আগে যে আনারসে ওষুধ দিছি হেগনা (ওইগুলো) খেতেই বেচা হচ্ছে।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে মধুপুরে ২৬টি পাইকারি ও ১৬২টি খুচরা রাসায়নিক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আছে। দেশি, বিদেশি ও স্থানীয় ৭০টি কোম্পানির রাসায়নিক উপজেলায় বিক্রি হয়।

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক কৃষিবিজ্ঞানী ড. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। এতে বিভিন্ন নামের রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে। হরমোন বা ইথোপেন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো ভারত-চীন থেকে আসে। ক্ষতিকর এই রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জিসহ নানা চর্মরোগ, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক ও ক্যানসার হয়ে থাকে।

অনলাইন ডেস্ক