কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় নষ্ট হলো ৩০ একর জমির ধানের গাছ

 তরিকুল ইসলাম    ৮ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫৯:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

চিৎলা বিএডিসি ফার্মের উপসহকারী পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের অদক্ষতায় নষ্ট হলো প্রায় দেড়শ বিঘা জমির ধান। এতে সরকার হারাচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। একই সাথে হুমকির মুখে ধান বীজ উৎপাদন। ফার্মের লেবাররা বলছে, যুগ্ম পরিচালকের ব্যাক্তিগত শ্রমিক নাজিম উদ্দিনের দেওয়া নিম্নমানের কীটনাশক ছিটানোর জন্য পুড়েছে ধান গাছ।

চলতি বছরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা পাট বীজ খামারে ১২০ একর জমিতে আউস ধানের চারা রোপন করা হয়।

জমিতে আগাছা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিৎলা বিএডিসি ফার্মের যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের ব্যাক্তিগত শ্রমিক নাজিম উদ্দিন বালতিতে কীটনাশক মিশিয়ে প্রয়োগের জন্য শ্রমিকদের দেন।

কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই রোপন করা ধানের চারা গাছ গুলো মরতে শুরু করে। বিস্তীর্ণ ধানের মাঠ এখন সবুজের পরিবর্তে হলুদ হয়ে গেছে। পচে গেছে ধানের গোড়া। পুড়ে গেছে ধানের সব পাতা ও কাণ্ড।

তবে কি ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি কর্মরত শ্রমিকদের।


অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের কীটনাশক ও সার, যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা থেকে তার কাছের ডিলারের মাধ্যমে ফার্মে নিয়ে আসেন। আর সেই সার কীটনাশক ব্যবহার করায় দিন দিন কমেছে ফলন। আর ফার্মের উপ-পরিচালকগণ কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা করেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

ফার্মে কর্মরত শ্রমিকরা বলছেন, ধানের জমিতে অনেক আগাছা জন্মেছে তাই নাজিম উদ্দিন তাদেরকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলেন। সেই কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে ৩০ একর জমির ধান গাছ পুড়ে ও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।


এ বিষয়ে চিতলা পাট বীজ খামারের কোন কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। উল্টো সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন ফার্ম ছেড়ে গাঁঢাকা দেয়। তবে যে কীটনাশক গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আগাছা নাশক।

এই কীটনাশক বেশি ব্যবহার করলে ধান গাছের গোড়া ধীরে ধীরে পচন ধরে এমনটাই জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর বিএডিসির উপ-পরিচালক শামীম হায়দার ও কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়।

তরিকুল ইসলাম