চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সাফল্য, বিক্রি হবে ৫ কোটি টাকায়

 অনলাইন ডেস্ক    ৮ অক্টোবার, ২০২৩ ১৫:১৯:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 17 বার

সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। উচ্চ ফলনশীল নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করছেন চাষিরা। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষিরা পেঁয়াজের ভালো ফলন পেয়েছেন।

বাংলাদেশে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করতে পারলে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস পাবে। এ মৌসুমে ১২৮০ মেট্রিক টন পেয়াজ উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে সর্ব প্রথম উচ্চ ফলনশীল জাতের নাসিক রেড এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার ১২০০ কৃষক এই প্রণোদনা সুবিধা পান। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে জমি প্রস্তুতের পর কৃষকরা বেডে বীজ রোপণ করেন।

পেঁয়াজ বীজ রোণের ৪৫ দিন পর গাছে গুটি আসে। নিয়মিত পরিচর্যা করলে ৯০ দিনের মাথায় পেঁয়াজ পূর্ণতা পায় ও বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে।

আরও পড়ুন: গাংনীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি সহায়তা প্রদান...

প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও নগদ টাকা দেয়া হয়। শীতকালীন পেঁয়াজের মতই ভালো ফলন ও গুণগত মান একই। রোগ বালাই অনেক কম। অল্প সময়ে লাভজনক চাষ হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই পেঁয়াজ চাষ করতে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কৃষক বলেন, ‘সরকারী সহায়তায় ১ বিঘা জমিতে অসময়ের পেঁয়াজ চাষ করেছি। খরচ কম ও ফলন ভাল। বাজারে দামও অনেক বেশি। ৩০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে। আগামী বছর বেশি করে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করবো।’

কৃষকরা আরও বলেন, এই পেঁয়াজ চাষ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫-১৭ হাজার টাকা। খরচও তুলনামূলক কম। প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৫০-৬০ মণ। প্রতি মণ পেঁয়াজের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়।

আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদায় বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টা চাষ শুরু...

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার সুযোগ সুবিধা কৃষকরা প্রথমে নিতে আগ্রহী ছিলেন না। ১২০০ কৃষককে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে চাষ করানো হয়েছে এই পেঁয়াজ।

তিনি আরও বলেন, এখন অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমাদের কাছ থেকে বীজ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন অনেক কৃষক। কৃষকদের পেঁয়াজ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি ও ফলন ভাল হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক