গাংনী বাজারে উঠছে অপরিপক্ব তরমুজ, দামও চড়া

 নিজস্ব প্রতিবেদক    ১২ মার্চ, ২০২৪ ১২:৫৬:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 13 বার

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাস কে ঘিরে এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল তরমুজ। তবে এখনও পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে ওঠা তরমুজ অপরিপক্ব। কিন্তু দাম বেশ চড়া।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ফলের বাজারে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে ছোট ও মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। সেসব তরমুজের বেশির ভাগই অপরিপক্ব। আধা পাকা এসব তরমুজ কাটার পর কোনটি রং লাল দেখা যাচ্ছে, কোনটি আবার সাদা-লাল। কিছু কিছু তরমুজের স্বাদ মিষ্টি হলেও, বেশিরভাগই পানসে স্বাদের।

বাজারে ওঠা বেশিরভাগ তরমুজ অপরিপক্ব হলেও চাহিদা কম নয়। অনেক ক্রেতাকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে দেখা গেছে।

মূলত, রমজানকে ঘিরে বাড়তি লাভের আশায় অনেক কৃষক পরিপক্ব হওয়ার আগেই তরমুজ বিক্রি করে ফেলছেন। যেগুলোর রং ও স্বাদ পরিপক্ব তরমুজের তুলনায় অনেক কম। তরমুজের দাম কিন্তু কম নয়। বাড়তি দামে কেজি হিসেবে তরমুজ কিনছেন ক্রেতারা।


বিক্রেতারা বলেন, আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি তরমুজের ওজন দুই কেজি থেকে প্রায় ছয় কেজি পর্যন্ত হয়। গত বছর এই তরমুজ ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে।

আরও পড়ুন: গাংনীতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরীর অভিযোগ...

এখন বাজারে ওঠা বেশিরভাগ তরমুজ অপরিপক্ব বলে স্বীকার করেছেন খোদ কৃষকরা।

কৃষকরা আরও বলেন, তরমুজ এখনও পুরোপুরি পরিপক্ব হয়নি। তারপরও রমজানে যেহেতু তরমুজের চাহিদা থাকে, সেজন্য বাড়তি লাভের আশায় বিক্রি করছি তরমুজ। তবে আরও কয়েকদিন পর যেসব তরমুজ আসবে, সেগুলো পরিপক্ব হবে।

এক্ষেত্রে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

খুচরা বিক্রেতারা বলেন, এবার তরমুজের দাম বেশি। এবার ১০০ তরমুজ ২০-২৫ হাজার টাকা করে কিনতে হচ্ছে। আর খুচরা ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে আমরা বিক্রি করছি। তবে গত বছরের ১০০ তরমুজ ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকায় কিনেছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক