জমিতে পচে যাচ্ছে বীজ, এবার আগাম আলু চাষে বিপর্যয়

 অনলাইন ডেস্ক    ১৭ অক্টোবার, ২০২৩ ১৫:৩৩:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 25 বার

নীলফামারীতে ভারি বৃষ্টির কারণে আগাম আলু চাষিরা রোপণের শুরুতেই পড়েছেন চরম বিপাকে। বীজ আলু রোপণের পর ভারিবর্ষণে প্রথম দফায় জমিতেই পচে গেছে আলু । এতে চিন্তায় পড়েছেন আলু চাষিরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগাম আলু উৎপাদনের অন্যতম জাগায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ। প্রতিবছরই এখানে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়।

বাজারে নিদৃষ্ট সময়ের আগে আসায় আগাম আলু অত্যন্ত লাভজনক, যা চাষিদের অনেকাংশে আর্থিক সচ্ছলতা দেয়। কিন্তু এবার আগাম আলু চাষে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

কৃষকরা বলেন, আগাম আলু সাধারণত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে লাগানো শুরু হয়ে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রায় পুরোটা ও অক্টোবরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে লাগানো আলু পচে গেছে। পচে যাওয়া কারনে জমি থেকে আলু তুলে নতুন করে আলু লাগাতে হচ্ছে। অনেকে কেনা বীজ আলু জমিতে লাগাতে না পেরে বাড়িতে রাখায় সেখানেও পচন ধরছে।

আরও পড়ুন: মাজরা পোকার আক্রমণে আমন চাষিদের মাথায় হাত!...

গত বছর এ সময় পর্যন্ত প্রায় অড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হলেও এবার আলু লাগানো হয়েছে মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে।

আগাম আলু ৬০ দিনে ঘরে তোলে কৃষক। নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে আগাম আলু চাষে কিছুটা দেরি ও ক্ষতি হয়েছে। তবে আলু রোপণের সময় এখনো আছে, পরিবেশ ভালো থাকলে উৎপাদন হবে।

তিনি আরও বলেন, নীলফামারী জেলায় এবার আগাম আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৮০০ হেক্টর। আর কিশোরগঞ্জেই শুধু আলু চাষ হয় চার হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে।

অনলাইন ডেস্ক