সংকটে আশার আলো হয়ে জেগে থাকেন নজরুল

 অনলাইন ডেস্ক    ২৫ মে, ২০২৪ ০৯:৩৪:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 4 বার

কাজী নজরুল ইসলাম কেবলই আমাদের জাতীয় কবি হিসেবে স্মরণীয়। তিনি যেন সংকটের ব্যবস্থাপত্র পাঠ করে শোনান তার বাঁশিতে। এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশি আর অন্য হাতে রণতূর্য নিয়ে আগমন করেছেন তিনি। সে আগমনী গানে আজ মানুষ খুঁজে পায় সংকটকালে আশার আলো।

আমাদের বর্ণপরিচয়ের পাঠ থেকে শুরু করে তুমুল যৌবনের নানা সংকটে নজরুলের উপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে।

আমাদের শৈশবের স্মৃতিতে গেঁথে থাকা সেই ‘আমি হব সকাল বেলার পাখি’ আজও কি চমৎকার সুর হয়ে বাজে।নজরুল এ কবিতা দিয়ে আমাদের শৈশবের নরম মনে জুড়ে দিয়েছিলেন এক আশ্চর্য আলোর খোঁজ। তিনি কবিতায় বলেছিলেন-

‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?

তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে!’

শৈশবে এ কবিতা কিংবা ছড়া সুর করে ছন্দে ছন্দে পড়লেও জীবনের নানান সময় এসে এ কবিতার শব্দগুলোর অর্থ বদলাতে থাকে। ছোটবেলার সে রাতের আঁধার কেবল রাতের আঁধারই ছিল।

যে আঁধার থেকে মুক্তি পেতে হলে সেই শিশু আমাকে জাগতে হবে। কিন্তু জীবনের বাঁক বদলে, নানান সংকটে এবং ঘোর অন্ধকারের বিপরীতে জেগে ওঠার যে তাড়না নজরুল শৈশবে আমাদের মননে গেঁথে দিয়েছিলেন, সে তাড়া আজও যাপিত জীবনে সংকটের ব্যবস্থাপত্র হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: জবির ইতিহাস বিভাগে মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক প্রবর্তন...

নজরুল তার কবিতায় আলো পেড়ে আনার প্রাথমিক যে পাঠ শিশু-কিশোরবেলায় দিয়েছিলেন, সে পাঠের পূর্ণতা পায় যেন তার বিদ্রোহী কবিতায়।

এ কবিতায় নজরুল দেখিয়েছেন আসলে আমাদের কতটা জাগতে হবে, কতটুকু হবে সে স্পর্ধা! সে স্পর্ধা এতো তীব্র ও দীর্ঘ হবে যে, ভগবান বুকে পদচিহ্ন এঁকে দিতে পারার মতো দুঃসাহসিক।

তরুণদের কানে মন্ত্রের মতো পাঠ করলেন, উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল ও অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ রুখে দেয়ার আগ পর্যন্ত এ বিদ্রোহ চলবে। বাঁশির সুর বাঁচিয়ে রাখতে রণ-তূর্য চলবে তার গতিতে।

অনলাইন ডেস্ক