ইবির গণরুমে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় বহিষ্কার ৩

 ইবি প্রতিনিধি    ২ জুন, ২০২৪ ১৯:১০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 8 বার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ্ হলের ১৩৬ নম্বর গণরুমে রাতভর বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীকে ১ বছর (০২ সেমিস্টার) বহিষ্কার এবং আরো ২ জনকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

রবিবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে আল-ফিকহ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অপু মিয়ার সাথে র‍্যাগিং সংক্রান্ত ঘটনার যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১৩ তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সাগর প্রামানিক(২০২১-২২), একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো: উজ্জ্বল এবং শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি(২০২১-২২) কে ০১ বছর তথা দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

এছাড়াও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ মাসুম ও আইসিটি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিসনো আল আসনাওয়ী কে সতর্কীকরণ করা হলো এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে বহিষ্কার করা হয়েছে সাময়িকভাবে। তবে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

যদি তারা যৌক্তিক কিছু পেশ করে নিজেদের নির্দোশ প্রমাণ করতে পারে তবে অভিযোগ থেকে খালাশ পাবে৷ আইন প্রশাসক অধ্যাপক আনিচুর রহমান বলেন, কারণ দর্শনের নোটিশ দেয়া হয়েছে।

তারপর বিষয়টি সিন্ডিকেট যাবে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী যদি অনৈতিক ও অপরাধ কার্যকলাপে জড়িত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কোড অফ কন্টাক্ট ফলো করে পার্ট - ১ এর ৪ ও ৫ এবং পার্ট ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ০৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ্ হলের ১৩৬ নম্বর গণরুমে রাতভর বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এতে সিনিয়র তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এবং আরো দুইজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১৩ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইবি প্রতিনিধি