রাতে যেসব গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

 অনলাইন ডেস্ক    ৪ আগষ্ট, ২০২৪ ১১:৪০:০০নিউজটি দেখা হয়েছে মোট 5 বার

এক দফা দাবি আদায়ে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান করে। তবে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব, অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।

এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের রাতভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থান, শাহবাগে অবস্থান, আন্দোলনকারীদের টাকাসহ গ্রেপ্তার ছাড়াও অনেক গুজব। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফেসবুক পোস্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ৫ মিনিটে পরিস্কারের পোস্টও দেখা যায়। তবে বাস্তবে এগুলোর কোনো সত্যতা মেলেনি।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সন্ধ্যার পরপর শাহবাগ এলাকায় অবস্থান করে মিছিল ও স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। তারা রাত ৯টার দিকে শাহবাগ ত্যাগ করে। তবে রাতভর গুজব চলে, ‘শিক্ষার্থীরা শাহবাগ ও টিএসসিতে অবস্থান করছেন। সরকারের পদত্যাগের পর তারা ঘরে ফিরবে’। এমন পোস্ট দেখার পর রাত ৩টার দিকে শাহবাগ ও টিএসসিতে গিয়ে কোনো জমায়েত দেখা যায়নি।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাতভর দেশের পরিচিত ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার ও অভিনেতাদের নামে ছবিসহ ভুয়া পোস্ট করা হয়। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, ভারতীয় অভিনেতা শাহরুখ খান, অভিনেত্রী কাজলের ছবি দিয়ে পোস্ট করা হয়, কোটা আন্দোলনের পাশে ছিলাম, এখন যেটা চাচ্ছেন সেটার পাশে নাই।

টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ও ইউটিউবার রাফসান দ্যা ছোট ভাই -এর ছবি দিয়েও একই কথা পোস্ট করা হয়। তবে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে গিয়ে এধরনের কোনো পোস্ট দেখা যায়নি। রাতেই দেশ ছাড়ছেন কোটা আন্দোলনের সমন্বয়করা এমন একটি গুজবও ছড়ানো হয়।

বেশ কয়েকটি গ্রুপে পোস্ট দেয়া হয়, রাতের মধ্যে দেশ ছাড়ছেন কোটা আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তাদের দেশ ছাড়তে দেবেন না। ১ দফার হিসাব বাকি আছে। তবে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। শনিবার রাতভর বিভিন্ন গুজবের কোনো সত্যতা পাননি বলে জানান ফ্যাক্ট চেকাররা।

অনলাইন ডেস্ক